চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ৪৬ বছর পর সাত জনের যাবজ্জীবন

চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ৪৬ বছর পর সাত জনের যাবজ্জীবন , ৪৬ বছর আগে হাত-পা বেঁধে ছুরত আলম সারেং নামে এক ব্যক্তিকে বঙ্গোপসাগরে ফেলে হত্যার অভিযোগে সাত জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন চট্টগ্রামের আদালত।

 

চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ৪৬ বছর পর সাত জনের যাবজ্জীবন

 

চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ৪৬ বছর পর সাত জনের যাবজ্জীবন

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম জননিরাপত্তা বিঘœকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সেলিম মিয়া এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় দ-িত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মো. জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে সাত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদ-, পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদ- ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদ-ে দ-িত করা হয়।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

তিনি আরও বলেন, মামলাটি দীর্ঘদিন অন্য আদালতে বিচারাধীন ছিল। ২০১৬ সালে এটি জননিরাপত্তা বিঘœকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করা হয়। দ-প্রাপ্তরা হলেন- চট্টগ্রামের পটিয়ার শিকলবাহা এলাকার হাজী এবাদ আলীর ছেলে মো. আবদুস সাত্তার, ভোলা জেলার নবীপুর গ্রামের সানাউল্লার ছেলে মো. ইব্রাহিম, কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামের খুরুলিয়া এলাকার কালাম আহমেদের ছেলে মো. শফি, সন্দ্বীপ উপজেলার দক্ষিণ শুলাবাহর এলাকার মো. মিয়ার ছেলে বেচু মিয়া, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার দক্ষিণ হাতিয়া এলাকার আবদুর রশিদের ছেলে রুহুল আমিন, ভোলার লালমোহন থানার ইদ্রিছ মিয়া লাটিয়ালের ছেলে মো. খোরশেদ আলী ও ভোলার দৌলতখান থানার জুয় নগর এলাকার আবুল বেপারীর ছেলে আবদুল মতিন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৭ সালের ১৫ আগস্ট কক্সবাজার থেকে ট্রলারে করে তিন হাজার ৫০০ মণ লবণ নিয়ে চাঁদপুর যাচ্ছিলেন ছুরত আলম সারেং। বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রাম সীমান্তে পৌঁছা মাত্র ট্রলারে থাকা অন্যান্য মাঝি-মাল্লা লবণ এবং নৌকা আত্মসাতের উদ্দেশে ট্রলার ও লবণ মালিকের ছেলে ছুরত আলম সেরাংকে মারধর করে হাত-পা বেঁধে সাগরে ফেলে দেয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় অপর এক মাঝিকেও মারধর করে সাগরে ফেলে দেয়।

 

চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ৪৬ বছর পর সাত জনের যাবজ্জীবন

 

ওই মাঝি সাঁতরে অপর একটি নৌকায় ওঠে প্রাণে বাঁচলেও ছুরত আলমকে আর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় ছুরত আলমের বাবা আলতাছ মিয়া চট্টগ্রামের বন্দর থানায় আট জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এর মধ্যে একজন মারা যাওয়ায় তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আরও দেখুন:

Leave a Comment