তবু কার্যক্রমে সরব উপস্থিতি সাংবাদিক হেনস্তায় হয়েছেন বহিষ্কার,পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মারুফ ইসলামকে বহিষ্কার করে কেন্দ্র। বহিষ্কারাদেশ মোতাবেক তিনি ছাত্রলীগের কোনো কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রমেই তার সরব উপস্থিতি দেখা গেছে।

তবু কার্যক্রমে সরব উপস্থিতি সাংবাদিক হেনস্তায় হয়েছেন বহিষ্কার
সম্প্রতি ভর্তি পরীক্ষায় শাখা ছাত্রলীগের ব্যানারে দেওয়া হেল্প ডেস্কে তার উপস্থিতি ক্যাম্পাসে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এ সময় তার পাশে ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দূর্জয়, সহ-সভাপতি রকিবুল হাসান দিনার, সহ-সভাপতি মইনুল ইসলাম রাসেল, অর্থ সম্পাদক মাহির মোহাম্মদ মাহফুজসহ অন্য নেতাকর্মীরা।
বহিষ্কৃত মারুফ ইসলাম শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স) গ্রুপের নেতা এবং নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
৯ ফেব্রুয়ারি চারুকলা অনুষদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মারজান আক্তার। এ সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করলে তার ফুটেজ নেন মারজান। এতে ক্ষিপ্ত হন ছাত্রলীগের কর্মীরা৷ ঘটনার ফুটেজ মুছে দেওয়ার জন্য মারজানকে জেরা শুরু করেন। মারজান ফুটেজ ডিলিট করতে রাজি না হলে তারা হাতের ব্যাগ ধরে টানাটানি করে তাকে হেনস্তা করেন।
এ ঘটনায় নেতৃত্ব দেন মারুফ ইসলাম। সাংবাদিকদের প্রতিবাদের মুখে ২ দিন পর ১১ ফেব্রুয়ারি মারুফকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কিন্তু বহিষ্কারের পরও কীভাবে তিনি ছাত্রলীগের কার্যক্রমে অংশ নেন তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
এ বিষয়ে মারুফ ইসলাম বলেন, আমাকে দুদিনের মাথায় বহিষ্কার করা হয়েছিল। আমি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে আমার বিষয়ে পুনরায় তদন্তের আহ্বান জানিয়েছিলাম। তারা বলেছে বিষয়টি দেখবে। এরপরও দীর্ঘদিন নিজেকে রাজনীতি থেকে বিরত রেখেছি। এখন ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে মানবিক কার্যক্রম শুরু করেছি।
শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রকিবুল হাসান দিনার বলেন, হেল্প ডেস্কে অনেক নেতাকর্মীই ছিলেন। মারুফ যে আমার পাশে বসা ছিল খেয়াল করিনি। পরবর্তীতে বিষয়টির ব্যাপারে সতর্ক থাকবো।
এ বিষয়ে ভিএক্স গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দূর্জয় বলেন, মারুফকে তখন তাৎক্ষণিক মিডিয়ার চাপে পড়ে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। আর সেই বহিষ্কারাদেশে উল্লেখ ছিল না স্থায়ী বহিষ্কার নাকি স্বল্প সময়ের জন্য।

এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তদন্ত কমিটি হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রতিবেদন এখনো আসেনি। প্রতিবেদন পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে তিনি কোনো অপরাধ করেছেন কি না। অপরাধী প্রমাণিত হলে যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে। যেহেতু এখনো অপরাধ প্রমাণিত না সেহেতু ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে তিনি মানবিক কাজে অংশ নিয়েছেন।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আপনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলুন।

