গত ৫ আগস্ট থানা-পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা হাজি ইকবালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার নগরীর মধ্যম হালিশহরের মালুম বাড়ি মসজিদের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
চট্টগ্রামে আ.লীগ নেতা হাজি ইকবাল কারাগারে
হাজি ইকবাল বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি। এ ছাড়া তিনি চাঞ্চল্যকর যুবলীগ কর্মী মহিউদ্দিন হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি।
বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আদনানুর রহমান তাঁকে কারাগারে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ২২ আগস্ট বন্দর থানায় দায়ের হওয়া বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ একাধিক মামলায় হাজি ইকবালকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’

মামলার অভিযোগে পুলিশ উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা, লোহার রড নিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা ফাঁড়ি ঘেরাও করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে ফাঁড়ির মূল গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। এ সময় পুলিশ সদস্যরা স্থানীয় কয়েকজনের সহায়তায় সাদাপোশাকে ফাঁড়ি থেকে বের হয়ে নিরাপদে চলে যায়। যাওয়ার আগে তাদের অস্ত্রগুলো অস্ত্রাগারে জমা রাখে।

এ সময় দুর্বৃত্তরা ফাঁড়ি–থানাতে বিভিন্ন নথিসহ আসবাবে আগুন ধরিয়ে দেয়। ফাঁড়ির দরজা, জানালা, ফ্যান, লাইটসহ মূল্যবান জিনিসের পাশাপাশি একটি শটগান ও কয়েকটি গুলি লুট করে। এ ছাড়া ঘটনার দিন বন্দর থানা লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। ঘটনার চার দিন পর সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুলিশ পরিদর্শনে গিয়ে ফাঁড়িটি ধ্বংসস্তূপ দেখতে পায়।
আরও পড়ুন…