চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত। আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিজন ভোটারের দোরগোড়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি ,ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বার্তা ও ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনতে উৎসাহ দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।
এরই অংশ হিসেবে আওয়ামীলীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির তত্ত্বাবধানে আজ ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ কর্তৃক মনোনিত প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

উক্ত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহ প্রদান করতে এবং কার্যক্রমের সফলতার জন্য উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ .জ .ম নাছির উদ্দীন ।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন “রোড টু স্মার্ট বাংলাদেশ” কর্মসূচির ফোকাল পয়েন্ট সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর ও সহকারী ফোকাল পয়েন্ট সৈয়দ ইমাম বাকের , চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগ, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ এর নেতৃবৃন্দ।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কার্যালয়ের আঞ্চলিক সমম্বয়ক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা টিকো চাকমা ও জয়জিৎ দত্ত। প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় প্রশিক্ষক টিম।
উক্ত অনুষ্ঠানে পাঠানো বার্তায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, আমাদের দলীয় সমর্থক একটা বৃহৎ ভোট ব্যাংক রয়েছে। সেই সাথে জননেত্রী শেখ হাসিনার নানা উদ্যোগের সরাসরি সুবিধাভোগী ভোটার রয়েছে।

এই ২ ধরণের ভোট পেলেই আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত হয়। এছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়নকামী ও ভবিষ্যত মুখী তরুণ প্রজন্ম উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখার গুরুত্ব বোঝে।আমাদের প্রশিক্ষিত কর্মীদলের মাধ্যমে এদের সহ সকল ভোটারকে ভোটকেন্দ্রে আহবান করব এবং উৎসাহ দিয়ে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসব।
জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী ও সাবেক মন্ত্রীপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, আমরা এবার প্রতিজন ভোটারের কাছে জন নেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন এবং দেশের মানুষের জন্য তার ভবিষ্যৎ ভাবনার কথা তুলে ধরে ভোট চাইবো। প্রতিজন ভোটারের বাড়িতে যাবে আমাদের একজন ক্যাম্পেইনর। ক্যাম্পেইনর দলের পক্ষ থেকে আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন ও জননেত্রী শেখ হাসিনার বার্তা তুলে ধরার পাশাপাশি ভোটারের সকল প্রশ্নের উত্তর দেবে। আমরা বিশ্বাস রাখি ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসবেন এবং নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে আবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ক্যাম্পেইনের কর্মকৌশল বর্ণনা করেন ক্যাম্পেইনের ফোকাল পয়েন্ট তথ্য প্রযুক্তিবিদ সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর। তিনি বলেন , ক্যাম্পেইনের হাজারো নতুন ফর্মুলা আবিষ্কার হয়েছে, কিন্তু আজ পর্যন্ত ভোটারের কাছে গিয়ে ভোট চাওয়ার কোন ভালো বিকল্প তৈরি হয়নি। ভোটারের কাছে
গিয়ে ভোট চাওয়া আজও সবচেয়ে কার্যকর টুল। আমরা সেই টুলটিকে আরও সুসংগঠিত ভাবে প্রযুক্তির সহায়তায় কাজে লাগাতে কাজ করছি”।
প্রশিক্ষণে উপস্থিত হয়ে ক্যাম্পেইনের সহকারী ফোকাল পয়েন্ট সৈয়দ ইমাম বাকের বলেন “সংসদ নির্বাচনকে আমরা স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের মতো আন্তরিক, আকর্ষক ও উৎসবমুখর করতে চাই। এই প্রশিক্ষণের পরে আমাদের প্রতিজন ভোট প্রার্থনা কর্মী সেই লক্ষেই কাজ করবেন।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এবারও প্রিন্ট মাধ্যম, অনলাইন মাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়া, ইভেন্ট-ভিত্তিক প্রক্রিয়ায় প্রচার চালাবে। তবে এবার প্রচারের পাশাপাশি ভোটারকে ভোট কেন্দ্রে আনার জন্য আ.লীগ স্বাতন্ত্র উদ্যোগ নিয়েছে। সেই উদ্যোগটিকে আভ্যন্তরীণ নাম দেওয়া হয়েছে “অফলাইন ক্যাম্পেইন” যা মূলত প্রতিজন ভোটারের মুখোমুখি হয়ে প্রচার করা এবং তাদেরকে ভোট কেন্দ্রে আনার একটি কার্যক্রম।
“অফলাইন ক্যাম্পেইন” এর আওতায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ প্রতি মহল্লায় ২০০ জন ভোটারের জন্য একজন “ভোট প্রার্থনা কর্মী” বা “ক্যাম্পেইনর” মনোনীত করছে, যার দেশব্যাপী মোট সংখ্যা ৬ লক্ষ। এই কর্মীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের মধ্যে রাখতে তৈরি করছে “প্রশিক্ষক”।

প্রতি ২০০ জন ক্যাম্পেইনর এর জন্য মনোনীত করা হচ্ছে ১ জন প্রশিক্ষক। এই প্রশিক্ষকরাও জেলা পর্যায়ের স্থানীয়। সেসব স্থানীয় প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষনকৌশল শিখিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সজ্জিত করতে তৈরি করা হয়েছে একটি ৩০০ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের “মাস্টার ট্রেইনর” পুল।
জেলার নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে ওয়ার্ড পর্যায় থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে “ভোট প্রার্থনা কর্মী” বা “ক্যাম্পেইনর” তালিকা। উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে “প্রশিক্ষক” তালিকা। প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে “মাস্টার ট্রেইনর” পুল এর শিক্ষকরা। আবার এসব প্রশিক্ষকরা যখন ভোট প্রার্থনা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, তখন মেন্টর হিসেবে উপস্থিত থাকছেন “মাস্টার ট্রেইনর” পুলের একজন শিক্ষক।

প্রশিক্ষণের শুরুতে বক্তারা সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্যে এই কার্যক্রমের প্রশংসা করে বাস্তবায়নের জন্য একসাথে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: